পড়াশোনার খরচ নিয়ে চিন্তা? কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে আজই আবেদন করুন!!

একটি জাতিকে অগ্রসর হতে গেলে, সেই জাতির স্ত্রী শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে হবে‌। এই কথা বড় বড় মনীষীগণ বলে গেছেন। একটি দেশ, রাজ্য ও সমাজের অগ্রগতির পিছনে রয়েছে স্ত্রী শিক্ষার ভূমিকা। আর এই স্ত্রী শিক্ষার দিক থেকেই আমাদের দেশ কিছুটা পিছিয়ে।

একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও মেয়েদের পড়াশোনা শেখানোর বদলে বিয়ে দেওয়াতেই বেশি রুচি বাবা মায়ের। এরকম অবস্থা অবশ্য দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা পরিবারের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।

তাই এবার থেকে মেয়েদের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নেবে মোদি সরকার। স্ত্রী শিক্ষার হার বাড়াতে ও মেয়েদের আগামী জীবন যাতে সুখকর হয় সেইদিকে খেয়াল রেখে একটি দুর্দান্ত প্রকল্প নিয়ে এসেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রকল্প আগামী দিনে দেশের নারী জাতিকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পটির নাম বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা। এই প্রকল্পের আওতায় মেয়েদের যাবতীয় পড়াশোনার খরচ কেন্দ্র সরকার বহন করবে।

বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা (Balika Samriddhi Yojana)

মেয়েরা যত উঁচু ক্লাসে উঠবে, তাদের কিন্তু সরকার থেকে পাওয়া অনুদানের পরিমাণ তত বাড়বে। এই প্রকল্প কিছুটা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই প্রকল্পের ব্যাপ্তি কিছুটা বেশি।

অবশ্য এটি পুরোপুরি নতুন কোনও প্রকল্প নয়। ১৯৯৭ সালে দেশের মেয়েদের সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে এই বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা নিয়ে আসা হয়। এত পুরনো এই প্রকল্পের সম্পর্কে আজও দেশের বেশিরভাগ মানুষই জানেন না।

প্রগতি স্কলারশিপে পড়ুয়ারা পাবে ৩০০০০ টাকা, জানুন কিভাবে আবেদন করবেন

বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা সুবিধা ও টাকার পরিমান

এই প্রকল্পের আওতায় কন্যা সন্তানের জন্ম হলেই ৫০০ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। আর সেই সন্তান স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বালিকা সমৃদ্ধি যোজনার আওতায় টাকা পাওয়া শুরু হবে। বছরে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান পাবে কন্যা সন্তানেরা। প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।

এই যোজনার আওতায় ক্লাস অনুযায়ী আর্থিক অনুদানের হার নির্ধারণ করা আছে। যেমন-

  • ১. কন্যা সন্তান প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ৩০০ টাকা করে বছরে পাবে।
  • ২. চতুর্থ শ্রেণীতে উঠলে কন্যা সন্তান বছরে ৫০০ টাকা করে পাবেন।
  • ৩. পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় কন্যা সন্তান ৬০০ টাকা করে বছরে পাবে।
  • ৪. ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত কন্যা সন্তান বছরে ৭০০ টাকা করে পাবে।
  • ৫. অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরতা কন্যা সন্তান বছরে ৮০০ টাকা করে পাবে।
  • ৬. নবম ও দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় কন্যা সন্তান বছরে ১ হাজার টাকা করে পাবে।

যত ক্লাস বাড়বে তার সাথেই বাড়বে আর্থিক অনুদানের পরিমাণ। কন্যা সন্তানের ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে পর্যন্ত এই টাকা তোলা যাবে না। এই টাকা একটি নির্দিষ্ট একাউন্টে জমা থাকবে। মূলত কন্যা সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্যই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। কেবলমাত্র কন্যা সন্তান স্কুলে ভর্তি হলেই এই টাকা পাওয়া সম্ভব।

আরো পড়ুন » জ্যোতি প্রকাশ স্কলারশিপ অনলাইন আবেদন (Jyoti Prakash Scholarship 2023-24)

তবে ভারতের বিপিএল পরিবারের কন্যা সন্তানরাই এই আর্থিক অনুদানের সুবিধা পাবে। অবশ্য প্রতিটি পরিবার থেকে কেবলমাত্র ২ জন কন্যা সন্তানই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। আবেদন করার জন্য বেশ কিছু নথি জমা করতে হবে।

প্রয়োজনীয় নথি :-

আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর জন্ম শংসাপত্র, আধার কার্ড অথবা রেশন কার্ড, অভিভাবক ও অভিভাবিকার আধার কার্ড, পিতা-মাতার বাসস্থানের প্রমাণ পত্র, কোন্ শ্রেণীতে পাঠরতা সেই সংক্রান্ত প্রমাণ পত্র, রেশন কার্ডের প্রতিলিপি জমা করতে হবে।

আবেদন করার পদ্ধতি (Application Form)

এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে অনলাইনে অফলাইন দুই ভাবে আবেদন করা যায়। অনলাইনে আবেদন করতে গেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে‌‌। অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি ↗

ন্যাশনাল স্কলারশিপ ২০২৩: যোগ্যতা, অনলাইন আবেদন (NSP Scholarship 2023)

অফলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে বিডিও অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে উপযুক্ত নথি সহ বিডিও অফিসেই জমা করতে হবে।

এরকমই বিভিন্ন ধরনের সরকারি প্রকল্প, স্কলারশিপ পড়াশোনার আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপটেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -